ওল কচু
ওল
শব্দটি আর্য ভাষার ‘ওল্ল’ শব্দ থেকে এসেছে,। ওল কচু একটি রূপান্তরিত কন্দ ফসল। এতে পুষ্টি ও ঔষধি গুণাগুণ উভয়ই
রয়েছে। ওল
কচু নানান রোগের উপশম হিসেবে কাজ করে থাকে। এর বিজ্ঞান সম্মত নাম হল অ্যামরফোকালাস
ক্যাম্পানুলাটাস। ইংরেজি
নামঃ Elephant’s Foot/
Teliga Potato
ওলের
পুষ্ঠিমান
প্রতি
১০০ গ্রাম ওলে রয়েছে :- কার্বোহাইড্রেট-১৮.৫
গ্রাম ,ফ্যাট-০.২
গ্রাম , প্রোটিন-১.৩
গ্রাম , থায়ামিন-০.০৬
মিগ্রা ,লোহা-
০.৬ মিগ্রা ,আঁশ-০.৮
গ্রাম ,নিকোটিনিক
অ্যাসিড-০.৭ মিগ্রা ,ক্যালসিয়াম-৫০
মিগ্রা ,ফসফরাস-৩৪
মিগ্রা , পটাশিয়াম-১৯৩
মিগ্রা ,ভিটামিন
‘এ’-৪৩৪ মিগ্রা ।
গেঁটে
বাত
ব্যথার জায়গায় ওল পুড়িয়ে থেঁতো করে অল্প ঘি অথবা এরেনডার তেল মিশিয়ে সহ্যমতো গরম
করে ব্যথার জায়গায় সেঁক দিলে যন্ত্রণাটা কমে যায়।
অর্শ্ব
অর্শ্বে ওল খুবই উপকারী । ওল থেঁতো ঘি দিয়ে মেখে খাওয়া অথবা ওল সেদ্ধ করে নিয়মিত খেলে এই রোগ অবশ্যই সারবে।
আমাশয়
ওল শুকনো করে ঘিয়ে ভেজে চিনি
মিশিয়ে খেলে আমাশয় নিরাময় হয়।
পেটের
রোগ
ওল খেলে পেটের পুরনো রোগ সেরে যায়।
হাজা
ওলের ডাঁটার রস হাজা জায়গায় লাগালে ২/৩ দিনেই কম হয়।
ছুলি
ও দাদ
ছুলি ও দাদে ঘি মাখিয়ে পোড়া ওল
ঘষলে ২/৩ দিনের মধ্যেই ভালো ফল
পাওয়া যায়।
মৌমাছি, বোলতা, ভিমরুল ও বিছার কামড়
এসব পোকা কামড়ানোর সাথে সাথে, ক্ষত স্থানে ওল ডাঁটার আঠা ঘষে দিলে ৫-৭ মিনিটের
মধ্যে যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
মাদকাসত্ততা
মধ্যপানের নেশা ছাড়াতে হলে পোড়া ওলের রস মদে মিশিয়ে ২/৪ দিন খাওয়ালে মদের নেশা
আর থাকবে না।
মুখের
ক্ষত
ওলকে ছোট ছোট করে কেটে শুকিয়ে নিয়ে পোড়াতে হবে। এরপর পোড়া ওলের ছাই একটুখানি ঘিয়ের সাথে মিশিয়ে দাঁত মাজলে
মুখের ও দাঁতের মাড়ির ক্ষত সেরে যাবে।
সদি-কাশি
ওলে আছে সর্দি-কাশির হাত থেকে রক্ষা করার
গুন। এক্ষেত্রে ওল পোড়ার সাথে নারিকেল কোরা ও ৫-৭ ফোঁটা ঘি মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশির
দোষটা কেটে যাবে।
পায়ের
গোদ বা ফোলা
পা
আয়ুর্বেদ শ্রাস্ত্র মতে বুনো ওলের ঔষুধী গুন অনেক। বুনো ওল শ্লীপদ ( পায়ের গোদ বা ফোলা পা) ,গোদ,শূলব্যাথা,
ব্যাথার মহা ঔষধ।
খাবারে
অরুচি
ওল খেলে খাওয়ার রুচি উৎপন্ন
হয় এবং অরুচি ভাব চলে যায়।
অর্শ্বজনিত
কোষ্ঠ কাঠিন্য
খাদ্যদ্রব্য হজম হয় না, পেটে বায়ু জমে , আবার মল পরিস্কার যেমন হয় না, তেমন কঠিন্য থাকে না। এই অবস্থায় ৫০ গ্রাম পোড়ানো ওলের সাথে ঘোল মিশিয়ে খেলে
উপকার হবে।
সন্তান
নষ্ট
অনেক মায়ের ৩-৪ মাসে অথবা ৭-৮
মাসে সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে ৪০-৫০ গ্রাম ওলপোড়া, সিকি চা-চামচ চন্দন
ঘষার এর সাথে একটু ছাগলের দুধ মিশিয়ে খেলে উপকার হয়।
ওলের অপকারী দিক
ওল বেশি খেলে যে চুলকানি
হওয়ার ভয় থাকে সে কথা মনে রাখতে হবে।
অন্যান্য সূত্র থেকে সংগৃহীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন